চুল পড়া এবং পাকা রোধে মাশরুম। মাশরুম হালাল কোরআন এবং হাদীসের আলোকে



মাশরুম হলো এক প্রকার ভক্ষণযোগ্য মৃতজীবী ছত্রাকে ফলন্ত অঙ্গ।
বিশ্বে প্রায় 3 লক্ষ প্রজাতির ছত্রাক চিহ্নিত করা হয়েছে।

মাশরুম এটি শুধু মাত্র একটা ছত্রাক নয় এটি নিয়ে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও বলেছেন। 
এটি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে এবং  আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকর।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন :
"আর আমি মেঘমালা দিয়ে তোমাদের উপর ছায়া দান করেছি এবং তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছি মান্না ও সালওয়া। তোমরা খাও সেসব পবিত্র বস্তু যা আমি তোমাদের দান করেছি। তারা আমারপ্রতি কোন জুলুম করেনি, বরং তারা নিজেদের উপরই জুলুম করেছিল।’’
[সূরা আল-বাকারাহ ২/৫৭]


সম্পর্কে সায়ীদ ইবনে যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ 
“আল-কামআ' [এক প্রকার উদ্ভিদ, যা অনেকটা মাশরুমের মত] মান্না এর অন্তর্ভুক্ত। আর এর পানি চোখের আরোগ্য।
[বুখারীঃ ৪৪৭৮] 
আর সালওয়া হলো এক প্রকার পাখি, যা চড়ুই পাখি থেকে আকারে একটু বড়।

এর থেকে বুঝতে পারছেন মাশরুম হালাল খাবার।

মাশরুম সাধারণত বিভিন্ন জায়গায় জন্মায়।
কিন্তু সেগুলো খাওয়ার উপযোগী নয়। সেগুলো বিষাক্ত।
যেগুলো বাণিজ্যিক ভাবে বিভিন্ন ফার্মে চাষ করা হয় সেগুলো খাওয়ার উপযোগী।


নিচের দেখে নিন কোন কোন ক্ষেত্রে এটি কাজ করে। 

★এটিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। যার কারণে শিশুদের হাড় ও দাঁত গঠনে বিশেষ কার্যকর।

★উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বেটিস রোগীদের জন্য মাশরুম অত্যাবশ্যক

★মাশরুমে ইরিটাডেনিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বিদ্যমান, যা রক্তের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই এটি হৃদরোগীদের জন্য আদর্শ খাবার।

★এটি টিউমারের বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়, এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃষ্টি বন্ধ করে এবং শ্বসনপ্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। মাশরুমে ট্রাইটারপিন থাকায় এটা বিশ্বে এইডস প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

★মাশরুম শক্তি বৃদ্ধি করে, ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধী, অর্শরোগ প্রতিরোধী, মেদ ভুড়িঁ কমাতে সহায়ক।

★এটি বয়স্কদের আদর্শ আমিষ,অ্যাজমারোগ নিরাময়ক, রূপচর্চায় অতুলনীয়।

★বাচ্চা ও গর্ভবতী মায়ের আদর্শ খাবার, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম দূর করে।

★এলার্জি রোগের মহৌষধ।

★চর্ম রোগে উপকারী

★জন্ডিস রোগের প্রতিষেধক।

★চুল পাকা এবং চুল পড়া রোধ করে।

[সূত্র : একাদশ - দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতি ২য় পত্র।
Writer : রণজিত কুমার নাথ
Page No : 69 ]

আরও নতুন পোষ্ট পরবর্তী পোষ্ট

Related Posts

Facebook